নিজস্ব প্রতিবেদক ::
মোসাম্মত সাগরিকার হ্যাটট্রিকে ভর করে সাফ অনূর্ধ-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে শ্রীলংকাকে ৯-১ গোলে গুঁড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। এছাড়া মুনকি আক্তার দুটি এবং স্বপ্না রানী, রুপা, শান্তি মার্দি ও শিখা আক্তার একটি করে গোল করেন।
শুক্রবার বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় মিয়ানমারে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে থাকা আটজনকেই শুরুর একাদশে রাখেন কোচ পিটার বাটলার। শুরু থেকে দাপটে খেলতে থাকে স্বাগতিক দলের মেয়েরা। হাফ লাইনের ওপরে হয়েছে খেলা। বাংলাদেশের আক্রমণ সামলাতেই বেশি ব্যস্ত থেকেছে লংকান মেয়েরা।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় মিনিটে ফ্রি-কিকের গোলে এগিয়ে যায়। স্বপ্না রানী বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের জোরালো শটে গোলকিপারের ওপর দিয়ে জড়িয়ে দেন জালে। এর দুই মিনিট পর ব্যবধান বাড়ে। মুনকি আক্তার ডান পায়ে বল নিয়ে বক্সে ঢুকে এগিয়ে আসা গোলকিপারের পাশ দিয়ে বা পায়ে দারুণ ফিনিসিং টানেন।
ম্যাচের ৩৭ মিনিটে বাংলাদেশ পায় তৃতীয় গোল। শিখার ক্রসে সাগরিকা প্রথমে ঠিকমতো বল রিসিভ করতে পারেননি, পরে বাম পা দিয়ে বল টার্ন করে পোস্টের সামনে থেকে গোল করেন। বিরতির পর তিনটি পরিবর্তন আসে দলে। অধিনায়ক আফঈদা খন্দকারকে বিশ্রাম দেয়া হয়। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সাগরিকার কাটব্যাকে গোলমুখে আনমার্কড মুনকি নিখুঁত ট্যাপে জাল খুঁজে নেন। এরপরই অধিনায়ক আফঈদাকে তুলে রুমা আক্তারকে নামান বাটলার। ৫০ মিনিটে বাম দিক থেকে আসা ক্রস দারুণ প্লেসিং শটে জালে জড়ান শিখা। বড় জয়ের পথে ছুটতে থাকে বাংলাদেশ।
৫৩ মিনিটে একক প্রচেষ্টায় এগিয়ে বক্সে ঢুকে নিচু শটে ব্যবধান বাড়ান সাগরিকা। এর পাঁচ মিনিট পর পূজার কাট ব্যাকে প্লেসিং শটে হ্যাটিট্রিক পূরণ করেন এই ফরোয়ার্ড। একটু পরই সাগরিকাকে তুলে তৃষ্ণা রানীকে নামান কোচ। ৮৩ মিনিটে রুপা দলের হয়ে অষ্টম ও শেষ গোল করেন।
যোগ করা সময়ে শ্রীলংকার লালিয়ান শিখা এক গোল পরিশোধ করেন।
১৩ জুলাই নেপালের বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এরপর ১৫ ও ১৭ জুলাই টানা দুই ম্যাচে মেয়েদের প্রতিপক্ষ ভুটান। ১৯ জুলাই আবার লংকানদের মুখোমুখি হবেন স্বপ্না-সাগরিকারা। আর ২১ জুলাই নিজেদের শেষ ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে লড়বে স্বাগতিকরা। গ্রুপে একে অপরের বিপক্ষে লড়বে। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দল চ্যাম্পিয়ন।
এটা অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফের ষষ্ঠ আসর। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের মাটিতে যুগ্মভাবে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ ও ভারত। এবার ভারত অংশ নিচ্ছে না। বাংলাদেশ সর্বোচ্চ চারবার শিরোপা জিতেছে, ভারত জিতেছে দুবার।