অমিতাভ কাঞ্চন ::
সে সঙ্গে ক্রিকেটে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জয় করতে সক্ষম হলো প্রোটিয়ারা। এর আগে ১৯৯৮ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত আইসিসি নকআউট বিশ্বকাপের (বর্তমানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি) প্রথম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল দক্ষিণ আপ্রিকা।
ম্যাচটা শেষ করে দিয়ে আসতে পারেননি হয়তো; কিন্তু জয়ের আসল কাজটি তিনিই করে দিয়ে গেছেন। শুধু সেঞ্চুরি করে ক্ষান্ত হননি, সঙ্গে আরও ৩৬ রান যোগ করে প্রোটিয়াদের সকল বিপদমুক্ত করেছেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়েই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছায় দক্ষিণ আফ্রিকা। শুধু এইডেন মারক্রামই নন, দক্ষিণ আফ্রিকার এই ঐতিহাসিক জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। মারক্রামের সঙ্গে ১৪৭ রানের অনবদ্য এক জুটি গড়েন তিনি। চতুর্থ দিন সকালে তিনি ব্যক্তিগত ৬৬ রানের মাথায় আউট হয়ে যান। তবে, তার আর মারক্রামের জুটিই প্রোটিয়াদের জয়ের পথ রচনা করে।
বিশ্বকাপে সেমিফাইনালই সর্বোচ্চ দৌড় ছিল প্রোটিয়াদের। সেই সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফাইনালে উঠেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু ‘চোকার্স’ তকমা ঘোচাতে পারেনি। এবার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠে আসার পর সবারই প্রত্যাশা ছিল চোকার্স তমকাটা ঘোচাতে পারবে টেম্বা বাভুমার দল।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামার পর অস্ট্রেলিয়াকে ভালোভাবেই চেপে ধরেছিল। ৭৩ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর ১০০’র মধ্যেই অস্ট্রেলিয়া অলআউট হয়ে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দেয়; কিন্তু গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা ক্রিকেটে সত্যিই ঘুরে দাঁড়ালো অস্ট্রেলিয়া। মিচেল স্টার্কের ব্যাটে। তার আগে অ্যালেক্স ক্যারে ৪৫ রান করে কিছুটা প্রতিরোধের ইনিংস খেলেন। এরপর ৫৮ রানে অপরাজিত থাকেন স্টার্ক। হ্যাজলউড ১৭ রান করে ভালোই সঙ্গ দেন।
২০৭ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়াল দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে দাঁড়ায় ২৮২ রনের বিশাল লক্ষ্য। যে দলটি ১৩৮ রানে প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়ে যায়, তাদের সামনে চতুর্থ ইনিংসে ২৮২ রানের লক্ষ্য, সত্যিই বিশাল একটি ব্যাপার। তারওপর বোলারগুলোর নাম দেখুন! প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, জস হ্যাজলউড, বিউ ওয়েবস্টার, নাথান লিওন। এসব বোলারকে মোকাবেলা করে ২৮২ রান তোলা এই উইকেটে স্বপ্নেও কল্পনা করার কথা নয়, কোনো দলের পক্ষে।
পরের জুটিটা হলো ১৪৩ রানের। মারক্রাম আর টেম্বা বাভুমা। এই একটি জুটিই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দিলো। ৬৬ রান করে বাভুমা আউট হলেও মারক্রাম দলকে টেনে নিয়ে যান ২৭৬ রান পর্যন্ত। জয়ের জন্য তখন বাকি মাত্র ৬ রান। এর মধ্যে ট্রিস্টান স্টাবস ৮ রানে আউট হন।