ঢাকামঙ্গলবার , ২৪ জুন ২০২৫
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন ও আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. খেলাধুলা
  7. ধর্ম
  8. নারী ও শিশু
  9. বিনোদন
  10. মি‌ডিয়া
  11. মু‌ক্তিযুদ্ধ
  12. রাজধানী
  13. রাজনীতি
  14. শিক্ষা
  15. শিল্প ও সা‌হিত‌্য

নগর ভবনে ইশরাকের বিরোধী পক্ষ সন্দেহে পিটুনি ও সাংবাদিককে হুমকি

বার্তা কক্ষ
জুন ২৪, ২০২৫ ৪:৪২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক ::

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয় নগর ভবনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনার পর জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের যে পক্ষটি বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের ‘বিরোধী’, তাঁদের লোক সন্দেহে মারধরের ঘটনা ঘটে।

এসব ঘটনার ভিডিও ধারণ করার কারণে একজন সাংবাদিককে ছুরি দেখিয়ে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও কর্মচারীরা বলেন, একটি পক্ষের নেতৃত্বে আছেন আরিফুজ্জামান প্রিন্স। তাঁকে ইশরাকের বিরোধী পক্ষ মনে করা হচ্ছে। তিনি আজ সিটি করপোরেশনের তাঁর পক্ষের কর্মচারীদের নিয়ে নগর ভবনে আসেন। তাঁরা আসার পর আরেকটি পক্ষের নেতৃত্বে থাকা আরিফ চৌধুরীর অনুসারীদের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে দুই পক্ষের কয়েকজন আহত হন। তবে তাঁদের নাম জানা যায়নি।

তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার আরিফ চৌধুরী  বলেন, অন্যান্য দিনের মতো আজও তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে নগর ভবনে অবস্থান নিয়েছিলেন। কিন্তু বহিরাগতরা নগর ভবনে এসে তাঁদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাঁদের পাঁচজনকে গুরুতর আহত করেছে।

এই ঘটনার দেড় ঘণ্টা পর ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে নগর ভবনে আসতে থাকেন ইশরাকের সমর্থকেরা। তাঁরা নগর ভবনের সামনে অবস্থান নেন।

ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত ইশরাকের অনুসারীরা তৌহিদুলকে বেদম পেটাতে থাকেন। এ সময় পুলিশ এসে তৌহিদুলকে উদ্ধারের চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশের কাছে তৌহিদুলকে দিতে রাজি হচ্ছিল না ইশরাকের অনুসারীরা।

পরে নগর ভবনে আগত আরেক ব্যক্তিকে আরিফুজ্জামানের অনুসারী সন্দেহে মারধর করা হয়।

একপর্যায়ে পুলিশ এই দুই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

এসব ঘটনার ভিডিও ও ছবি তোলার সময় গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর চড়াও হতে দেখা গেছে ইশরাকের সমর্থকদের।

নাগরিক টেলিভিশনের প্রতিবেদক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান শিশিরের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে সব ছবি ও ভিডিও ডিলিট করে দেন ইশরাকের অনুসারীরা। এ সময় তাঁকে হেনস্তা ও হুমকি দিতে দেখা যায়।

আসাদুজ্জামান বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় মারধরের ভিডিও করতে গেলে তাঁর মুঠোফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। সব ভিডিও ও ছবি ডিলিট করে দেওয়া হয়। ছুরি দেখিয়ে তাঁর জীবননাশের হুমকি দেওয়া হয়। এরপর ভয়ে আর কোনো ভিডি ও ছবি তোলেননি তিনি।

মারধরের ভিডিও ধারণ করার সময় এখন টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যানকে বাধা দিতে দেখা গেছে।

এ ছাড়া এনটিভির প্রতিবেদককেও হেনস্তা করা হয়েছে। নগর ভবনে অবস্থানরত এনটিভির প্রতিবেদক নাজিবুর রহমান বলেন, তাঁকে পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়া হয়েছে।

নগর ভবনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ইশরাককে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার আন্দোলনে শুরু থেকেই সক্রিয় ছিলেন আরিফ চৌধুরী। পরে আন্দোলনে যুক্ত হতে আরেক শ্রমিক নেতা আরিফুজ্জামান নগর ভবনে এলে তাঁদের ওপর হামলার চালানো হয়েছিল। অবশ্য এই দুই পক্ষের মধ্যে আগে থেকেই দ্বন্দ্ব ছিল।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি