আরিফ নিশির ::
টেলিফোন অপারেটরদের কাছে ২০১৯ পর্যন্ত বিটিআরসির বকেয়া ছিলছ্। ২৪ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে গ্রামীণ ফোনের কাছে ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ালে ২০১৯ সালে বিটিআরসিকে প্রায় বারো হাজার ৬ শ কোটি টাকার বীপরীতে ২০০ কোটি টাকা দিতে রাজি হয়েছে গ্রামীণ ফোন। তাদের আইনজীবী আদালতে এ কথা জানিয়েছিলেন সেসময়। অন্যদিকে গ্রামীণ ফোনের কাছে বাংলাদেশ টেলিয়োগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের পাওনা (বিটিআরসি) ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা।
আদালতে গ্রামীণ ফোনের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন ও ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপস। শুনানিতে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপস বলেন, তারা বিটিআরসিকে ২০০ কোটি টাকা দিতে রাজি। অর্থমন্ত্রী ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর সঙ্গে সমঝোতা বৈঠকের পর প্রস্তাবনা অনুযায়ী ২০০ কোটি টাকা দিতে চায় গ্রামীণ ফোন। এর বিরোধিতা করে এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছিলেন, গ্রামীণ ফোনের কাছ থেকে বিটিআরসির পাওনা আদায়ের উপর হাইকোর্টের দেযা নিষেধাজ্ঞা আমরা স্থগিত চাই। এরপর আদালত আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন। গত ৩১ অক্টোবর গ্রামীণ ফোনকে দুই সপ্তাহের সময় দিয়ে ১৪ নবেম্বর পর্য্যন্ত শুনানি মুলতবি করে ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় শুননি হয়েছে। ২১ অক্টোবর আপীল বিভাগের চেম্বার জজ বিচারপতি মোঃ নুরুজ্জামান বিটিআরসির আদেশের উপর নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য ২৪ অক্টোবর দিন নির্ধারন করে দেয়। ২৪ অক্টোবর পাওনা সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকার জন্যে গ্রামীণ ফোন ন্যূনতম কত টাকা বিটিআরসি কে দিতে পারবে তা জানতে চায় সুপ্রীমকোর্ট আপীল বিভাগ। ২০ অক্টোবর বিটিআরসি হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে। ১৭ অক্টোবর বিচারপতি একে এম আব্দুল হাকিম ও বিচারপতি ফাতেমা নজীব গ্রামীণ ফোনের কাছে বিটিআরসি র ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা পাওনা আদায়ের উপর দুই মাসের অন্তবর্তী নিষেধাজ্ঞা দেয়। ২০১৯ সালের ২ এপ্রিল বিভিন্ন খাতে ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা দাবি করে বিটিআরসি গ্রামীণ ফোনকে চিঠি দিয়েছিল। পরে গ্রামীণ ফোন ঐ চিঠির বিষয়ে নিম্ন আদালত মামলা করে। একই সঙ্গে ঐ মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অর্থ আদায়ের উপর স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করা হয়। ২০১৯ সালের ২৮ আগস্ট নিম্ন আদালত গ্রামীণ ফোনের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন খারিজ করে দেয়। ও আদেশের বিরুদ্ধে আপীল করে গ্রামীণ ফোন।
তারপর আর আলোর মুখ দেখেনি বকেয়া আদায়ের উদ্যোগ। বর্তমান সরকার কি এই বকেয়া আদায়ের উদ্যোগ নেবে ? এ প্রশ্ন বিশেষজ্ঞ মহলের।