আরিফ রিশির ::
গুলশানের প্লট আর ফ্লাট বাণিজ্যে আবার স্বক্রিয় হচ্ছে ভুমি কুতুব গ্যাং। আর এবার তাকে সহযোগিতা করছে খোদ বিএনপির গুলশান বনানী নেতারাসহ কেন্দ্রীয় দুজন যুগ্ম সম্পাদক। ভুমি এরই মধ্যে দখল নিয়েছেন, গুলশান এভিনিউ এর উদয় টাওয়ার,জব্বার টাওয়ারসহ বেশ কয়েকটি টাওয়ার ও প্লট।
জানা যায়, সাবেক ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ছিলেন কুতুব উদ্দিন আহমেদ ওরফে ‘ভূমি কুতুব’র গং এর বিরুদ্ধে করা দুর্নীতির মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর আগে ৫ বছরের সাজার রায় ও পেয়েছিল। বর্তমান তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে কোন এক অদৃশ্য হাতের ইশরায় ভুমি কুতুব ঐই ৫ বছরের সাজা পাওয়া মামলা থেকে খালাস পেয়ে যান।
তখন কুতুব উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি সরকারি কর্মকর্তা হওয়া সত্ত্বেও ভুয়া আমমোক্তারনামার মাধ্যমে গুলশানে ১০ কাঠার একটি প্লট তার শ্বশুরসহ কয়েকজনের নামে বরাদ্দ করেন।
বর্তমানে ওই জমিতে সপরিবারে বসবাস করছেন তিনি।অপরদিকে ওই জমির কথিত আমমোক্তার নাজমুল ইসলাম সাঈদ রাজউকের সম্পত্তি জানা সত্ত্বেও কুতুব উদ্দিনের সাথে যোগসাজশে ভুয়া মালিক তথা ভুয়া আমমোক্তার বলে বিক্রেতা সেজে জমি বিক্রয় দেখিয়ে তা আত্মসাতে সহায়তা করেন এবং আর্থিকভাবে লাভবান হন।
গত বছরের ৮ জুন, গুলশান মডেল থানায় (মামলা নং-০৬) কুতুব উদ্দিনের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের প্রমান পেয়ে এই মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মীর্জা জাহিদুল আলম। তিনি এ মামলার প্রদান তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবেও কাজ করছেন।
এরপর দুদক সেগুন বাগিচা এলাকা থেকে আটক করে আদালতে পাঠিয়েছিলো কুতুবকে। বেশ কিছুদিন থাকার পর জামিনে বের হয়ে আসেন তিনি। এর পর আদালত তাকে ৫ বছরের সাজা দিলেও তিনি হাইকোট থেকে খালাস পান।