নিজস্ব প্রতিবেদক ::
আগষ্ট বিপ্লব বা বৈশ্যম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে মোহাম্মদপুরে শহীদ হন মাহিন মিয়া। ১৮ জুলাই গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। নিহত মাহিন হত্যা মামলার অন্যতম আসামী গাজী জাহিদ হোসেন ও তার ছেলে মোঃ ইমাদ হোসেন। তারা সুনিদিষ্ট হত্যা মামলার আসামী হওয়া সত্বেও মোহাম্মপুরের এই দুই ভুমিদস্যু প্রকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে ও জমি দখল, বাড়ি দখল, ফ্লাট দখলবাজির মতো অপরাধ কারবার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
যখন বৈশ্যম্য বিরোধী আন্দোলন বা জুলাই আন্দোলনে শহীদদের হত্যা মামলায় প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা, মন্ত্রী, আমলা এমনকি পুলিশ কর্মকর্তা বা সেনা কর্মকর্তাও পার পাচ্ছে না যেতে হচ্ছে জেলহাজতে। তারপর শুধু ১ নম্বর বা প্রধান আসামী নয় ১৩০ নম্বর কিংবা ২০০ নম্বর আসামীও জেলের ঘানি টানছে ! আর জড়িত না হয়েও রাজনৈতিক নেতা, মন্ত্রী, আমলা কিংবা পুলিশ বা সেনা কর্মকর্তা কেউই রেহায় পাচ্ছে না। তখন আগষ্ট বিপ্লবে শহীদ মাহিন হত্যাকান্ডের মদদদাতা ও সরাসরি জড়িত জাহিদ ও তার ছেলে ইমাদ প্রকাশ্যে ঘুরছে কোন শক্তির বলে ? এ প্রশ্ন এলাকাবাসীর।
একই সাথে মাহিন হত্যা মামলার ২৪ ও ২৫ নম্বর আসামী হয়েও জাহিদ ও তার ছেলে ইমাদ কোন শক্তিতে ঘুরছেন প্রকাশ্যে? পুলিশ কেন তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিচ্ছে না প্রশ্ন পর্যবেক্ষক মহলেরও।
শুধু তাই নয় এলাকায় ভাড়াটিয়া সেজে বাড়ি ভাড়া নিয়ে ফ্লাট-বাড়ি কিংবা জমি-প্লট দখলবাজি চালিয়ে যাচ্ছে।
তাদের অপকর্মের প্রমানে দেখা যায় মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডের সি ব্লকের ২৬/১৭ বাড়ির মালিক মরিয়ম বেগম অভিযোগ করেন তার বাড়ির তিন তলা ও নিচ তলা এই চক্রটি দীর্ঘদিন দখল করে রেখেছে। তিনি ওয়ারিশসুত্রে প্রাপ্ত এই সম্পত্তি ভাই বোন নিয়ে বসবাস করে ভোগদখল করছিলেন। এর মধ্যে এই চক্রটি দুটি ফ্লাট দখলে রেখেছে দীর্ঘদিন তারা ভাড়া তো দিচ্ছেই না উপরন্তু হুমকি থামকি চালিয়ে যাচ্ছেন। বাড়িওয়ালাকেই সন্ত্রাসী বানিয়ে পুলিশ দিয়ে জেল হাজতে নিয়ে শায়েস্তা করছেন উচ্ছেদের চেষ্টা করছেন।
তিনি বলেন, গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগের সুবিধা নেয়া এই ভুমিদস্যুরা নব্য বিএনপি জামায়াতের নেতা সেজে দখলবাজি করছে। নিজেকে ভুয়া অধ্যাপক দাবী করে আগষ্ট বিপ্লবের পর সিটি কলেজের শিক্ষাথীদের দিয়ে হামলা করে তাজমহল রোডের এই বাড়িটি দখলের চেষ্টা চালিয়েছিল বলে তিনি জানান। বাড়ির মালিক সে যাত্রা সেনা বাহিনীর স্থানীয় ক্যাম্পে খবর দিয়ে নিজেরা রক্ষা পান। তারপরও থামেনি এই চক্রের উৎপাত। মাঝে মধ্যেই চলছে মিথ্যা ষড়যন্ত্র মিথ্যা সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগে থানায় জিডি করে বাড়িরমালিককে হেনস্থা করা, নিজেরা ভুয়া বাড়ির মালিক সেজে সুবিধা নেবার চেষ্টা অব্যহত রেখেছেন।
৫ আগষ্ট এ সাবেক প্রধানমন্ত্রী পালাতে বাধ্য হলেও আওয়ামী লীগের সুবিধা নেয়া এই চক্র পালানো তো দুরের কথা নব্য বিএনপি আর জামায়াত সেজে চালিয়ে যাচ্ছে দখলবাজি সামারাজ্য।
সুনিদিষ্ট হত্যা মামলার আসামী হওয়া সত্বেও পুলিশ কেন তাদেরকে গ্রেফতার করেনি কিংবা আইনের আওতায় নেইনি সে বিষয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে । ভুক্তভোগি ব্যক্তি ও এলাকাবাসী এই দুষ্ট চক্রের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করেছেন।